জানি একদিন আমি চলে যাব

Wednesday, 19 December 2012

জানি একদিন আমি চলে যাব সবি ছেড়ে
যত বুক ভরা দুঃখ কষট নিয়ে -- ও ও

জানি একদিন আমি চলে যাব সবি ছেড়ে
যত বুক ভরা দুঃখ কষট নিয়ে
ফিরবনা কোন দিন এই পৃথিবীতে
কোন কিছুর বিনিময় এই পৃথিবীতে
একদিন চলে যাব
জানি একদিন আমি চলে যাব সবি ছেড়ে
যত বুক ভরা দুঃখ কষট নিয়ে -- ও ও

জানি একদিন ভুলে যাবে সবাই
আমায়, আমার সৃতি মুছে যাবে ধারায়
ও--জানি একদিন এক মুহুরত আরো
মনে পড়বেনা আমার কথা

ফিরবনা কোন দিন এই পৃথিবীতে
কোন কিছুর বিনিময় এই পৃথিবীতে
একদিন চলে যাবফিরবনা কোন দিন এই পৃথিবীতে
কোন কিছুর বিনিময় এই পৃথিবীতে
একদিন চলে যাব

জানি একদিন আমি চলে যাব সবি ছেড়ে
যত বুক ভরা দুঃখ কষট নিয়ে

জানি একদিন দূর থেকে দেখব সবার
এই ভুলে যাওয়া

ও--জানি একদিন চোখ থেকে পড়বে সুধু
অস্রু-রি ধারা

ফিরবনা কোন দিন এই পৃথিবীতে
কোন কিছুর বিনিময় এই পৃথিবীতে
একদিন চলে যাব

জানি একদিন আমি চলে যাব সবি ছেড়ে
যত বুক ভরা দুঃখ কষট নিয়ে --

ফিরবনা কোন দিন এই পৃথিবীতে
কোন কিছুর বিনিময় এই পৃথিবীতে
একদিন চলে যাব

জানি একদিন আমি চলে যাব সবি ছেড়ে
যত বুক ভরা দুঃখ কষট নিয়ে --ও ও ও

অবুঝ ভালবাসা

অবুঝ ভালবাসা
Artist: হৃদয় খান  

তুমি যদি আমাকে কাছে এসে ভালবাসো
কি জানি হয় হৃদয়ে
কি করে তো্মায় বোঝাবো
ভালো আর লাগেনা
এত কেন মায়া ?
যত কাছে আমি লাগে সুধু সান্তনা
অবুঝ ভালবাসা
জানি এ নয় খেলা
তবু এই মনে হয় ছাড়া তো্মায় বাচবনা
তুমি যদি আমাকে কাছে এসে
ভালবাসো
না জানি কবে সে সময় আসবে
আমাকে ধরে কাঁদবে

ও -- দুঃখের পেছনে যত সুখ আছে
একদিন রঙ দেখাবে
কত দিন আর এভাবে - বোঝাবো
তো্মাকে
সহেনা এ বাধন দোটানা
ভালো আর লাগেনা
এত কেন মায়া ?
যত কাছে আমি লাগে সুধু সান্তনা
অবুঝ ভালবাসা
জানি এ নয় খেলা
তবু এই মনে হয় ছাড়া তো্মায় বাচবনা

তুমি যদি আমাকে কাছে এসে
ভালবাসো

when i come force to you and
love each
i dont know what happens to
my heart
i'll explain you....just tell me
--- i love you


আজ আমি বলব যে তো্মাকেই চাই
কখনো যদি না পাই
ও-- শেষ হয়ে যাবে এ জীবনের সাধ
এ ভেবে লাগে সুধু ভয়
যতদিন এ প্রান আছে
আমি রব যে কাছে
তো্মাকে কথা দিলাম

ভালো আর লাগেনা
এত কেন মায়া ?
যত কাছে আমি লাগে সুধু সান্তনা
অবুঝ ভালবাসা
জানি এ নয় খেলা
তবু এই মনে হয় ছাড়া তো্মায় বাচবনা
তুমি যদি আমাকে কাছে এসে
ভালবাসো
কি জানি হয় হৃদয়ে
কি করে তো্মায় বোঝাবো

ভালো আর লাগেনা
এত কেন মায়া ?
যত কাছে আমি লাগে সুধু সান্তনা

অবুঝ ভালবাসা
জানি এ নয় খেলা
তবু এই মনে হয় ছাড়া তো্মায় বাচবনা
ভালো আর লাগেনা
এত কেন মায়া ?
যত কাছে আমি লাগে সুধু সান্তনা

অবুঝ ভালবাসা
জানি এ নয় খেলা
তবু এই মনে হয় ছাড়া তো্মায়
বাচবনা

নিথুয়া পাথারে (মনপুরা)

নিথুয়া পাথারে (মনপুরা)
কণ্ঠ : ফজলুর রহমান বাবু

নিথুয়া পাথারে নেমেছি বন্ধুরে
ধর বন্ধু আমার কেহ নাই
তোল বন্ধু আমার কেহ নাই ।।

চিকন ধুতিখানি পড়িতে না জানি
না জানি বান্ধিতে কেশ ।
অল্প বয়সে পীরিতি করিয়া
হয়ে গেল জীবনেরও শেষ ।
প্রেমেরও মুরলি বাজাতে নাহি জানি
না পারি বান্ধিতে সুর ।।

নিথুয়া পাথারে নেমেছি বন্ধুরে
ধর বন্ধু আমার কেহ নাই
তোল বন্ধু আমার কেহ নাই ।।

গাইবোনা আর কোনো গান

গাইবোনা আর কোনো গান 
Artist: ফুয়াদ Featuring সুমন ও আনিলা


দিয়েছিলে যা নিয়ে নিতে পারো
লেখা কবিতা গাওয়া গান যত
খুঁজে দেখো না , পাবেনা কেউ আমার মত
মুছে দিওনা সুধু হৃদয়ও ক্ষত


গাইবোনা আর কোনো গান তোমায় ছাড়া
লিখবনা আমি আর তুমি হীনা কবিতা


নিজেকে আমি বুজিনি কখনো
ছিলেনা যখন , আসনি তখনও
এলে শেখালে অজানা যা ছিল
আমার মাজেই আজ আমি আলোকিত

(গাইবোনা আর কোনো গান তোমায় ছাড়া
লিখবনা আমি আর তুমি হীনা কবিতা)

তুমি আমার ঘুম

তুমি আমার ঘুম
Artist: T. W. SHOINIK

তুমি আমার ঘুম, তবু তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখিনা
তুমি আমার সুখ তবু তোমায় নিয়ে ঘর বাধিনা
তুমি আমার খোলা আকাশ, কখনো সুর্য দেখিনা
তুমি আমার দিন থেকে রাত, আমি যে সময় জানিনা .ও .ও .ও

আমি বৃষ্টি চায় অবিরত মেঘ ,তবু সমুদ্র চোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা

তুমি আমার খোলা আকাশ কখনো সুর্য দেখিনা
তুমি আমার দিন থেকে রাত আমি যে সময় জানিনা .o.o.o
তুমি আমার ঘুম .............................

ভালবাসা জলের মত .দুহাত যেন ভরেনা
প্রিয় মুখ তারার মত ,দুচোখে গোনা যায়না
তুমি আমার খোলা আকাশ কখনো সুর্য দেখিনা
তুমি আমার দিন থেকে রাত আমি যে সময় জানিনা .
তুমি আমার ঘুম, তবু তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখিনা

তুমি আমার সুখ তবু তোমায় নিয়ে ঘর বাধিনা
তুমি আমার খোলা আকাশ, কখনো সুর্য দেখিনা
তুমি আমার দিন থেকে রাত, আমি যে সময় জানিনা .

যাও পাখি বল তারে

যাও পাখি বল তারে
Artist: কৃষ্ণকলি
সোনার পালঙ্কের ঘরে, লিখে রেখে ছিলেম নারে
যাও পাখি বল তারে , সে যেন ভোলে না মোরে
সুখে থেক, ভালো থেক, মনে রেখো এই আমারে
বুকের ভেতর নোনা বেথা
চোখে আমার ঝরে কথা, এপাড় ওপাড় তোলপাড় একা ।।

মেঘের উপর আকাশ উড়ে
নদীর ওপাড় পাখির বাসা
মনে বন্ধু বড় আশা ।।

যাও পাখি যারে উড়ে, তারে কয় আমার হয়ে
চোখ ঝলে যায় দেখব তারে
মন চলে যায় অদূর দুরে
যাও পাখি বল তারে , সে যেন ভোলে না মোরে ।।

আজ জন্মদিন তোমার

আজ জন্মদিন তোমার
Artist: Miles

আজকের আকাশে অনেক তারা, দিন ছিল সূর্যে ভরা, 
আজকের জ্যোসনাটা আরো সুন্দর, সন্ধাটা আগুন লাগা
আজকের পৃথিবী তোমার জন্য ভোরে থাকা ভালো লাগা
মুখরিত হবে দিন গানে গানে আগামীর সম্ভাবনা ।।

তুমি এই দিনে পৃথিবীতে এসেছ , শুভেচ্ছা তোমায়
তাই অনাগত ক্ষণ হোক আরো সুন্দর উচ্ছল দিন কামনায়
আজ জন্মদিন তোমার ।।

তোমার জন্য এই রোদেলা স্বপ্ন সকাল
তোমার জন্য হাসে অললন স্নিগ্ধ বিকেল
ভালবাসা নিয়ে নিজে তুমি, ভালোবাসো সব সৃষ্টিকে ।।

তোমার জন্য ফোটা পৃথিবীর সব গোলাপ
তোমার জন্য এই কবিতা নয় সে গোলাপ

আলোকিত হয়ে নিজে তুমি, আলোকিত কর পৃথিবীকে

কি জালা দিয়া গেলা মোরে

Tuesday, 18 December 2012

কি জালা দিয়া গেলা মোরে
            artist: হৃদয় খান
কি জালা দিয়ে গেলা মোরে, হৃদয় খান
নয়নের কাজল পরানের বন্ধুরে , 
না দেখিলে পরান পোড়ে
কি দুঃখ দিয়ে গেলা মোরে, 
নয়নের কাজল পরানের বন্ধুরে, 
না দেখিলে পরান পোড়ে
না দেখিলে পরান পোড়ে ।।

না রাখি মাটিতে, 
না রাখি পাটিতে, 
না রাখি পালকের উপরে
সিথির সিন্দুরে রাখিব বন্ধুরে, 
সিথির সিঁদুরে রাখিব বন্ধুরে, , 
ভিড়িয়ে রেশম ডরে, 
 ভিড়িয়ে রেশম ডরে ।।

বন্ধু পরবাসী, 
পরের ঘরে আসি, 
এত ঘুমে কেন ধরে
ও . বন্ধু পরবাসী, 
পরের ঘরে আসি, 
এত ঘুমে কেন ধরে
কয়লা করে ধ্বনি, পহায়লো রজনী,
কয়লা , করে ধ্বনি, পহায়লো রজনী,
না ডাকি ননদিনীর ডরে ।।

নারীর প্রেম গাছে ,
কি টানা কইরাছে,
বস্র খসি খসি পড়ে
কহে অস্কর আলী সাধু শত জানি,
কহে অস্কর আলী, সাধু শত জানি,
উদাসী বানাইল মোরে, উদাসী বানাইল মোরে ।।

সূর্যদয়ে তুমি, সূর্যাস্তেও তুমি

Sunday, 16 December 2012

সূর্যদয়ে তুমি, সূর্যাস্তেও তুমি
   ও আমার বাংলাদেশ, প্রিয় জন্মভূমি।।

জলসিঁড়ি নদীর তীরে,
   তোর খুশির কাঁকন যেন বাজে
ও—কাশবনে ফুলে ফুলে,
   তোর মধুর বাসর যেন সাজে
তোর একতারা হায়,
   করে বাউল আমায় সুরে সুরে।।

আঁকাবাঁকা মেঠো পথে
   তোর রাখাল হৃদয় যেন হাসে
ও—পদ্ম পাতা, দীঘির ঝিলে
   তোর সোনার স্বপন যেন ভাসে
তোর এই আঙিনায়
   ধরে রাখিস আমায় চিরতরে।।

প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ

প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ,
জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ,
বাংলাদেশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ।।

আমার আঙিনায় ছড়ানো বিছানো,
   সোনা সোনা ধুলিকণা,
মাটির মমতায় ঘাস ফসলে,
সবুজের আল্পনা,
আমার তাতেই হয়েছে
  স্বপ্নের বীজবোনা।।

অরূপ জোছনায়, সাজানো রাঙানো
   ঝিলিমিলি চাঁদ তলে
নিবিড় মমরায়, পিউ পাপিয়া
   হৃদয়ের দ্বার খোলে,
আমি তাতেই রেখেছি
  স্বপ্নের দ্বীপ জ্বেলে।।

মাঝি নাও ছাইরা দে

মাঝি নাও ছাইরা দে
ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে
গা-রে মাঝি গা কোন গান।।

একদিন তোর নাও মাঝি
ভাসবে না রে নীল নদীতে রে
সেদিন তোর গান মাঝি
শুনবে না কেউ গাইবে না বলে-
ও মাঝি রে, ও কলের নৌকা কাইরা নিবে সুর।।

যন্ত্রের নাও ধোঁয়া ছাইরা
আঁধার করল নীল আকাশটারে, ও মাঝি রে-
সেদিন তোর নাও মাঝি
শূণ্য হয়ে থাকবে রে পরে-
ও মাঝি রে-
ও চল রে মাঝি যাইরে বহু দূর।।

ধনধান্য পুষ্প ভরা

ধনধান্য পুষ্প ভরা
 [গানটি লিখেছেন দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]

ধনধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা
তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা
ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে যে স্মৃতি দিয়ে ঘেরা
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি
সে যে আমার জন্মভূমি, সে যে আমার জন্মভূমি।।

পুষ্পে পুষ্পে ভরা শাখি কুঞ্জে কুঞ্জে গাহে পাখি
গুঞ্জরিয়া আসে অলি পুঞ্জে পুঞ্জে ধেয়ে
তারা ফুলের ওপর ঘুমিয়ে পড়ে ফুলের মধু খেয়ে।।

ভায়ের মায়ের এত স্নেহ কোথায় গেলে পাবে কেহ
ওমা তোমার চরণ দুটি বক্ষে আমার ধরি
আমার এই দেশেতে জন্ম যেন এই দেশেতে মরি।।

চল চল চল

চল চল চল
ঊর্দ্ধ গগনে বাজে মাদল
নিম্নে উতলা ধরণী তল
অরুণ প্রাতের তরুণ দল
    চলরে চলরে চল।।

ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা টুটিব তিমির রাত
বাঁধার বিন্ধ্যা চল।।

নব নবীনের গাহিয়া গান
সজীব করিব মহাশশ্মান
আমরা দানিব নতুন প্রাণ
    বাহুতে নবীন বল।।

চলরে নওজোয়ান, শোনরে পাতিয়া কান
মৃত্যু তোরণ দুয়ারে দুয়ারে জীবনের আহ্বান
ভাঙ্গরে ভাঙ্গ আগল
    চলরে চলরে চল।।

আমি বাংলায় গান গাই

আমি বাংলায় গান গাই
[গানটি গেয়েছেন মাহমুদুজ্জামান বাবু]

আমি বাংলায় গান গাই,
আমি বাংলার গান গাই,
আমি আমার আমিকে চিরদিন
এই বাংলায় খুঁজে পাই।
আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন,
আমি বাংলায় বাঁধি সুর,
আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে
হেঁটেছি এতটা দূর।
বাংলা আমার জীবনানন্দ,
বাংলা আমার সুখ,
আমি একবার দেখি বারবার দেখি
দেখি বাংলার মুখ।।

আমি বাংলায় কথা কই,
আমি বাংলার কথা কই,
আমি বাংলায় ভাসি, বাংলায় হাসি,
বাংলায় জেগে রই।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে,
করি বাংলায় হাহাকার,
আমি সব দেখে-শুনে ক্ষেপে গিয়ে করি
বাংলায় চিৎকার।
বাংলা আমার দৃপ্ত শ্লোগান,
ক্ষিপ্ত তীর-ধনুক,
আমি একবার দেখি, বারবার দেখি
দেখি বাংলার মুখ।।

আমি বাংলায় ভালোবাসি,
আমি বাংলাকে ভালোবাসি,
আমি তারই হাত ধরে সারা পৃথিবীর
মানুষের কাছে আসি।
আমি যা কিছু মহান
বরণ করেছি বিনিদ্র শ্রদ্ধায়
মিশে তের নদী সাত সাগরের জল
গঙ্গায় পদ্মায়।
বাংলা আমার তৃষ্ণার জল,
দৃপ্ত শেষ চুমুক।
আমি একবার দেখি, বারবার দেখি,
দেখি বাংলার মুখ।।

সবকটা জানালা খুলে দাওনা

সবকটা জানালা খুলে দাওনা
[গানটি গেয়েছেন সাবিনা ইয়াসমীন]

সবকটা জানালা খুলে দাওনা
আমি গাইব গাইব বিজয়েরই গান
ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে
ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ।।

চোখ থেকে মুছে ফেল অশ্রুটুকু
এমন খুশির দিনে কাঁদতে নেই
হারানো স্মৃতি বেদনাতে
একাকার করে মন ডাক দিলে
ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে
কেউ যেন ভুল করে গেয়নাক
মন ভাঙা গান।।

আজ আমি সারানিশি থাকব জেগে
ঘরের আলো সব আঁধার করে।
তৈরি রাখব আতর গোলাপ
এদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে
ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে
কেউ যেন ভুল করে গেয়নাক
মন ভাঙা গান।।

জন্ম আমার ধন্য হলো

জন্ম আমার ধন্য হলো
[গানটির গীতিকার নয়ীম গহর ও গেয়েছেন সাবিনা ইয়াসমীন]


জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো
এমন করে আকুল হয়ে
আমায় তুমি ডাকো।।

তোমার কথায় হাসতে পারি
তোমার কথায় কাঁদতে পারি
মরতে পারি তোমার বুকে
বুকে যদি রাখো মাগো।।

তোমার কথায় কথা বলি
পাখির গানের মতো
তোমার দেখায় বিশ্ব দেখি
বর্ণ কত শত।
তুমি আমার—খেলার পুতুল
আমার পাশে থাক মাগো।।

তোমার প্রেমে তোমার গন্ধে
পরান ভরে রাখি
এইতো আমার জীবন-মরণ
এমনি যেন থাকি।
বুকে তোমার—ঘুমিয়ে গেলে
জাগিয়ে দিও নাকো মাগো।।

রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি

রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি
[গানটি লিখেছেন আবুল কাশেম সন্দীপ ও সুর করেছেন সুজেয় শ্যাম]

রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি
বাংলাদেশের নাম।
মুক্তি ছাড়া তুচ্ছ মোদের
এই জীবনের দাম।।

সংকটে আর সংঘাতে
আমরা চলি সব একসাথে।
জীবন মরণ করে সব
লড়ছি অবিরাম।।

রক্ত যখন দিয়েছি আরও রক্ত দেব,
রক্তের প্রতিশোধ মোরা নেবই নেব,
ঘরে ঘরে আজ দূর্গ গড়েছি
বাংলার সন্তান,
সইবো না মোরা, সইবো না আর
জীবনের অপমান।।

জীবন জয়ের গৌরবে,
নতুন দিনের সৌরভে
মুক্ত স্বাধীন জীবন গড়া
মোদের মনস্কাম।।

আমায় গেঁথে দাওনা

আমায় গেঁথে দাওনা মাগো
একটা পলাশ ফুলের মালা
আমি জনম জনম রাখব ধরে
ভাই হারানোর জ্বালা।।

আসি বলে আমায় ফেলে
সেই যে গেল ভাই
তিন ভুবনের কোথায় গেলে
ভাইয়ের দেখা পাই
দেবো তারই সমাধিতে আমি
তোমার হাতের মালা।।

তারই শোকে কোকিল ডাকে
ফোটে বনের ফুল
ফুল পাবনের মধুর তিথি
কেঁদে হয় আকুল
আজও তারই স্মরণ করে সবাই
সাজাই ফুলের ডালা।।

হায় রে আমার মন মাতানো দেশ

হায় রে আমার মন মাতানো দেশ,
হায় রে আমার সোনা ফলা মাটি।
রূপ দেখে তোর কেন আমার নয়ন ভরে না
তোরে এতো ভালোবাসি তবু পরান ভরে না।।

যখন তোর ওই গাঁয়ের ঘরে
ঘুঘু ডাকা নিঝুম কোনো দুপুরে।
হংস মিথুন ভেসে বেড়ায়
শাপলা ফোটা তলতলে ওই পুকুরে।
নয়ন পাখি দিশা হারায়
প্রজাপতির পাখায় হারায়
তাদের কথা মনে ধরে না।।

যখন তোর ওই আকাশ নীলে
পাল তুলে যায়, সাত সাগরের পশরা।

নদীর বুকে হাতছানি দেয়,
লক্ষ ছেলে, মানিক-জ্বালা ইশারা।

হায় রে আমার বুকের মাঝে,
হাজার তারের বীণা বাজে
অবাক চোখে, পলক পড়ে না।।

আমার গায়ে যত দুঃখ সয়

আমার গায়ে যত দুঃখ সয়
artist: বারী সিদ্দিকী

আমার গায়ে যত দুঃখ সয়
বন্ধুয়া রে করো তোমার মনে যাহা লয়।।

নিঠুর বন্ধু রে, বলেছিলে আমার হবে
মন দিয়াছি এই ভেবে
সাক্ষী কেউ ছিলনা সেসময়।
সাক্ষী শুধু চন্দ্র-তারা,
একদিন তুমি পড়বে ধরা রে বন্ধু
ত্রিভুবনের বিচার যেদিন হয়।।

নিঠুর বন্ধু রে, দুঃখ দিয়া হিয়ার ভিতর
একদিনও না লইলে খবর
এইকি তোমার প্রেমের পরিচয় ও বন্ধুরে।
কি জানি কি আশা দিয়া
কেন বা প্রেম শিখাইলা রে বন্ধু
দূরে থাকা উচিত কি আর হয়।।

(পাষাণ বন্ধুরে) নিঠুর বন্ধুরে, বিচ্ছেদের বাজারে গিয়া
তোমার প্রেম বিকি দিয়া
করব না প্রেম আর যদি কেউ কয় ও বন্ধুরে।
উকিলের হয়েছে জানা
কেবলই সুরের কারখানা রে বন্ধু
চোরে চোরে বেওয়াইয়ালা হয়।।

মন আমার দেহ

মন আমার দেহ ঘড়ি সন্ধান করি
কোন মিস্তরি বানাইয়াছে
মন আমার দেহ ঘড়ি
ও একখান চাবি মাইরা দিছে ছাইড়া
জনম ধইরা চলতে আছে।।

মাটির একটা কেস বানাইয়া
মেশিন দিছি তার ভিতর
রঙ বেরঙের বার্নিশ করা
দেখতে ঘড়ি কি সুন্দর ভাই
দেখতে ঘড়ি কি সুন্দর।
দেহ ঘড়ি চৈদ্দোতলা
তার ভেতরে দশটি নালা
নয়টি খোলা একটি বন্ধ
গোপন একটা তালা আছে।।

এমন সাধ্য কার আছে ভাই
এ ঘড়ি তৈয়ার করে
এই ঘড়ি তৈয়ার করে ভাই
লুকায় ঘড়ির ভিতরে ভাই
লুকায় ঘড়ির ভিতরে।
তিন কাটা বারো জুয়েলে
মিনিট কাটা হইলো ঢিলে
প্রেম নয়নে বুঝলে পরে
দেখতে পারবে চোখের সামনে।।

নারী হয় লজ্জাতে লাল

নারী হয় লজ্জাতে লাল
ফাল্গুনে লাল শিমূল বন
এ কোন রঙে রঙিন হলো
বাউল মন, মন রে।।

চল সুন্দর শরৎ কালে
ফুল বসন্ত কালে
প্রেমের খেলা জমে ভালো যৌবনে সই লো
ফাগুনের মাতাল হাওয়ায়
মাতাল হইয়াছে মন।।

চাঁদ ডুবেছে নদীর জলে
ভ্রোমরা ফুলে ফুলে
আমার প্রাণ বন্ধু কেন বোঝে না সই লো
রূপ যেন তার মাতাল হাওয়া
চোখ যেন তার গহীন বন।।

আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম

আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম
artist: শাহ আবদুল করিম

গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান
মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদি গাইতাম
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম
(আমরা) আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।।

হিন্দু বাড়িতে যাত্রা গান হইত
নিমন্ত্রণ দিত আমরা যাইতাম
জারি গান, বাউল গান, আনন্দের তুফান
(আমরা) গাইয়া সারি গান নৌকা দৌড়াইতাম।।

বর্ষা যখন হইত,
গাজির গান আইত,
রংগে রংগে গাইত
আনন্দ পাইতাম
কে হবে মেম্বার,
কে বা গ্রাম সরকার,
আমরা কি তার খবরও লইতাম
হায়রে আমরা কি তার খবরও লইতাম।।

করি যে ভাবনা
সেদিন আর পাব না
ছিল বাসনা সুখি হইতাম
দিন হতে দিন
আসে যে কঠিন
করিম দীনহীন কোন পথে যাইতাম।।

বসন্ত বাতাসে সই গো

বসন্ত বাতাসে সই গো
artist: শাহ আবদুল করিম

বসন্ত বাতাসে সই গো
বসন্ত বাতাসে
বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ
আমার বাড়ি আসে।।
বন্ধুর বাড়ির ফুলবাগানে
নানান রঙের ফুল
ফুলের গন্ধে মন আনন্দে
ভ্রমর হয় আকুল।।
বন্ধুর বাড়ির ফুলের বন
বাড়ির পূর্বধারে
সেথায় বসে বাজায় বাঁশী
মন নিল তার সুরে।।
মন নিল তার বাঁশীর তানে
রূপে নিল আঁখী
তাইতো পাগল আব্দুল করিম
আশায় চেয়ে থাকে।।

নদীর কূল নাই, কিনার নাই রে

নদীর কূল নাই, কিনার নাই রে
আমি কোন্‌ কূল হতে কোন্‌ কূলে যাব
কাহারে শুধাই রে।।

ওপারে মেঘের ঘটা কনক বিজলী ছটা
মাঝে নদী বহে সাঁই সাঁই রে
আমি এই দেখিলাম সোনার ছবি
আবার দেখি নাই রে।
আমি দেখিতে দেখিতে সে রূপ
আবার দেখি নাই রে।।

বিষম নদীর পানি, ঢেউ করে হানাহানি,
ভাঙা এ তরণী তবু বাই রে
আমার অকূলের কূল দয়াল আল্লাহর
যদি দেখা পাই রে।।

মোদের গরব মোদের আশা

মোদের গরব, মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা।
(মাগো) তোমার কোলে, তোমার বোলে, কতই শান্তি ভালোবাসা।।

কি যাদু বাংলা গানে, গান গেয়ে দাঁড় মাঝি টানে,
গেয়ে গান নাচে বাউল, গান গেয়ে ধান কাটে চাষা।।

বিদ্যাপতি, চণ্ডী, গোবিন্‌, হেম, মধু, বঙ্কিম, নবীন-
ঐ ফুলেরই মধুর রসে বাঁধলো সুখে মধুর বাসা।।

বাজিয়ে রবি তোমার বীণে, আনলো মালা জগৎ জিনে।
তোমার চরণ-তীর্থে (মাগো) আজি জগৎ করে যাওয়া-আসা।।

ঐ ভাষাতেই নিতাই গোরা, আনল দেশে ভক্তি-ধারা,
আছে কৈ এমন ভাষা এমন দুঃখ-শ্রান্তি-নাশা।।

ঐ ভাষাতেই প্রথম বোলে, ডাকনু মায়ে ‘মা, মা’ বলে;
ঐ ভাষাতেই বলবো হরি, সাঙ্গ হলে কাঁদা হাসা।।

এ খাঁচা ভাঙ্গব আমি কেমন করে

এ খাঁচা ভাঙ্গব আমি কেমন করে।
দিকে দিকে বাজল যখন
শেকল ভাঙার গান
আমি তখন চোরের মত
হুজুর হুজুর করায় রত।
চাচা আপন বাঁচা বলে
বাঁচিয়েছি প্রাণ
আসলে ভাই একা একা
বাঁচার নামে আছি মরে
এ খাঁচা ভাঙ্গব আমি কেমন করে।।

এই শিকল পরা ছল

এই শিকল পরা ছল
Ei shikol pora chol

artist: Kazi Nazrul Islam

এই শিকল পরা ছল মোদের এ শিকল-পরা ছল।
এই শিকল পরেই শিকল তোদের করবো রে বিকল।।

তোদের বন্ধ কারায় আসা মোদের বন্দী হতে নয়,
ওরে ক্ষয় করতে আসা মোদের সবার বাঁধন-ভয়।
এই বাঁধন পরেই বাঁধন-ভয়কে করবো মোরা জয়,
এই শিকল-বাঁধা পা নয় এ শিকল ভাঙা কল।।

তোমার বন্ধ ঘরের বন্ধনীতে কর্‌ছ বিশ্ব গ্রাস,
আর ভয় দেখিয়েই ক’র্‌বে ভাবছো বিধির শক্তি হ্রাস
সেই ভয়-দেখানী ভূতের মোরা কর্‌বো সর্বনাশ,
এবার আন্‌বো মাভৈঃ বিজয়-মন্ত্র বল-হীনের বল।।

তোমরা ভয় দেখিয়ে কর্‌ছ শাসন জয় দেখিয়ে নয়;
সেই ভয়ের টুটি ধর্‌ব টিপে কর্‌ব তারে লয়।
মোরা আপনি মরে মরার দেশে আন্‌ব বরাভয়,
পরে ফাঁসি আন্‌ব হাসি মৃত্যু-জয়ের ফল।।

ওরে ক্রন্দন নয় বন্ধন এই শিকল-ঝঞ্ঝনা,
এ যে মুক্তি-পথের অগ্রদূতের চরণ-বন্দনা!
এই লাঞ্ছিতেরাই অত্যাচারকে হান্‌ছে লাঞ্ছনা,
মোদের অশ্রু দিয়েই জ্ব’লবে দেশে আবার বজ্রানল।।